ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

প্রধানমন্ত্রী খুবই চেষ্টা করছেন সারের দাম না বাড়াতে: কৃষিমন্ত্রী

আল আমিন | প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২২ ০৬:৪০

আল আমিন
প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২২ ০৬:৪০

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী খুবই চেষ্টা করছেন সারের দাম না বাড়াতে। সারে আমরা ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতাম। সেই ভর্তুকি এখন ২৮ থেকে ২৯ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংক সব সময়ই ভর্তুকি দিতে বারণ করে। এটার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই দ্বিমত পোষণ করেন। সারের ভর্তুকি সরাসরি কৃষক পায় কিন্তু ধনী পায় না।।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারের ১৭টি প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে আবার তিনটি প্রধান উপাদান, নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম। আমাদের ৭ থেকে ৮ লাখ টন পটাশিয়াম প্রয়োজন হয়। পটাশিয়াম শুধুমাত্র বেলারুশ, রাশিয়া এবং কানাডা থেকে পাওয়া যায়। বেলারুশের ওপরে আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা ছিল, এখন নতুন করে রাশিয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কানাডা সরকারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে তাদের থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করেছি, আমাদের প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম তারা সরবরাহ করবে। আরেকটি হলো টিএসপি, আমাদের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে সমস্যা হবে না।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের ইউরিয়া প্রয়োজন হয় ২৫ লাখ টন। এর মধ্যে ১০ লাখ টন আমরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করি। এর প্রতি কেজি খরচ হয় ১৮ থেকে ১৯ টাকা। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়ার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। গ্যাসের সাপ্লাই না থাকায় আমাদের চারটি ফার্টিলাইজার কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।

এর ফলে ৫ থেকে ৬ লাখ টন উৎপাদন কম হবে। আমরা উচ্চ পর্যায়ে কথা বলেছি, বর্তমানে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সেক্ষেত্রে আমাদের সার আমদানি করেই চাহিদা মেটাতে হবে। তবে আগামী বোরো মৌসুম পর্যন্ত আশা করছি, সারের কোনো সমস্যা হবে না। সমস্যা হলো বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে সার।

বিদেশ বার্তা/ এএএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: