ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

নবম ধাপের ইউপি ভোটে জয়ী আ’লীগ ৬৮ স্বতন্ত্র ৬১

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২২ ১৬:৫১

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২২ ১৬:৫১

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক : নবম ধাপে দেশের ১৩১টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বাংলাদেশ আ’লীগ ৬৮টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছে। আর স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন ৬১ জন। এই ধাপে ভোট পড়েছে ৬৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। মাঠপর্যায় থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্য একীভূত করে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) এ তথ্য দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান। বুধবার (১৫ জুন) দেশের ১৩১টি ইউপিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্বাচনি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নবম ধাপে আ’লীগ পেয়েছে ৬৮ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদ। এ নিয়ে ইউপিতে দলটির চেয়ারম্যানের সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ২৬৫ জন। আর অন্যান্য ধাপের মতো এবারও দলটির সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে, মূলত যাদের বেশির ভাগই আ’লীগের বিদোহী প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই ধাপেও দখল করে নিয়েছে ৬১টি চেয়ারম্যান পদ। এ নিয়ে স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান পদে জয় পেলেন এক হাজার ৮৫২ জন। নবম ধাপে একটি ইউপির ফলাফল স্থগিত রয়েছে।

আর একটি পেয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির প্রার্থী মো. আ. রহিম পটুয়াখালীর কালাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউপিতে প্রায় দুই হাজার ভোট বেশি পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছে। এ নিয়ে ইউপিতে দলটির চেয়ারম্যানের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ জন।

নারী : পটুয়াখালী সদরের কালিকাপুর ইউপিতে আ’লীগ থেকে জয়ী হয়েছেন সালমা জাহান। ৯টি ধাপে এ নিয়ে মোট নারী চেয়ারম্যানের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৬ জন। এদের মধ্যে ছয়জন স্বতন্ত্র, একজন জাতীয় পার্টির। অন্যদের সবাই আ’লীগের প্রার্থী।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা : আ’লীগের প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম বরিশালের উজিরপুরের শিকারপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে ৯টি ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৬৮ জন। এদের মধ্যে আ’লীগের ৩৬১ জন ও সাতজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

নবম ধাপে পুরো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। এর আগে ষষ্ঠ ধাপে গত ৩১ জানুয়ারি ২১৬টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হয়েছিল ইভিএমে। সে সময় ভোট পড়েছিল ৬৯ দশমিক ০৭ শতাংশ।

ইসির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ইভিএমের নির্বাচন ছিল এটি। দশম ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রথম অংশে ২০৪টি ইউপিতে ২০২১ সালের ২১ জুন, দ্বিতীয় অংশে ১৬০টি ইউপিতে ২০ সেপ্টেম্বর; দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩ ইউপিতে ১১ নভেম্বর; তৃতীয ধাপে ৯৯২টি ইউপিতে ২৮ নভেম্বর; চতুর্থ ধাপে ৮১৯টি ইউপিতে ২৬ ডিসেম্বর; পঞ্চম ধাপে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ৬৯২টি ইউপিতে; ষষ্ঠ ধাপে ৩১ জানুয়ারি ২১৬টি ইউপিতে, সপ্তম ধাপে ১৩২টি ইউপিতে ৭ ফেব্রুয়ারি এবং অষ্টম ধাপে ৯টি ইউপিতে ১০ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এ নিয়ে মোট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো চার হাজার ১৮৯টি ইউপিতে। দেশে মোট ইউপির সংখ্যা চার হাজার ৫৭৪টি। অবশিষ্টগুলোর নির্বাচন পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: