
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ব্যবহারের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হবে। সামনে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অপচয় কমিয়ে আনতে হবে।
সোমবার (১৬ মে) ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-এর বাস্তবায়ন পর্যালোচনার জন্য দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।
নারীদের অবহেলিত রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাদের অবহেলিত রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। সমাজে প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন শ্রেণির জন্য ভাতা দেয়া হচ্ছে।
এসময় তিনি সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সমালোচনাকারীদের নিয়েও কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকেই পারমাণবিক বিদ্যুতের সমালোচনা করেন। কিন্তু এগুলো যে মানুষের কাজে লাগবে সেটা তারা বিবেচনা করেন না। নদীমাতৃক বাংলাদেশের তৃণমূলের মানুষ এতে উপকৃত হবেন। ঢাকা শহরে বসে না থেকে গ্রামে গিয়ে দেখুন। টিভিতে টকশো করছেন আর বলেন যে, কথা বলতে দেয়া হয় না। কিন্তু কারও মুখ তো চেপে ধরা হয়নি। গ্রামে যান, খেটে খাওয়া মানুষদের দেখুন। কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে।’
নির্দিষ্ট সময়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করা কঠিন- এমন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তবুও পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে তা সম্ভব। অর্জনগুলোকে ধরে রেখে আগামীতে যা বাস্তবায়ন করতে চাই তার পরিকল্পনা করতে হবে।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ১৯৮১ সালে জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশে ফিরে আসি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। তখন গণতন্ত্র ছিল না। সামরিক স্বৈরাচাররা দেশ চালাতো। আমরা এখন সামাজিক নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করছি। এমনভাবে সহযোগিতা করছি যাতে মানুষ কর্মবিমুখ না হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: