
নিজস্ব প্রতিবেদক : ফরিদপুরের ভাঙ্গার এক্সপ্রেসওয়ে থেকে অতিরিক্ত বাস ভাড়া নেওয়ার দায়ে কয়েকটি পরিবহনে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। পরিবহন গুলো হচ্ছে- প্রচেষ্টা পরিবহন ও ইলিশ পরিবহন। এরা ভাঙ্গা থেকে গুলিস্তান ও সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ভাড়া আদায় করছিল। অথচ সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৯২ টাকা ভাড়া। সেখানে পরিবহন মালিকরা নতুন নতুন সময়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা নিচ্ছিল।
যাত্রীদের চাঁপ বেড়ে যাওয়ায় হুট করে ৪০০ থেকে ৫০০ আদায় করছে। যাত্রীদের অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কারেন ভাঙ্গা সহকারী কমিশনার ভুমি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি প্রত্যেককে ৪,০০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করেন এবং সতর্ক করে দেন। এসময় ম্যজিস্ট্রেট গাড়িতে গাড়িতে উঠে ড্রাইভার সুপারভাইজার দের সতর্ক করেন এবং যাত্রীদের নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত না দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে গাড়ির নম্বর টুকে রেখে তার মোবাইলে জানাতে যাত্রীদের মাঝে মোবাইল নম্বর প্রদান করেন।
প্রচেষ্টা পরিবহনের ড্রাইভার ইয়াসিন হাওলাদার বলেন, বেশী ভাড়া না নিয়ে কি করবো? পথে পথে টাকা চাঁদা দেওয়া লাগে। ওভার ব্রীজের উপর থেকে প্রতি গাড়ি থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা নেয় স্থানীয় মালিক সমিতি।
এবিষয়ে ভাঙ্গা ট্রাফিকের ইন্সপেক্টর মীর আনোয়ার বলেন, চাঁদা তোলার বিষয়ে আমি শুনে আমার কতৃপক্ষ এসপি মহোদয়কে জানিয়েছি।
এদিকে ভাঙ্গা সহকারী কমিশনার ভুমি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভাঙ্গায় যাত্রীদের কাছ থেকে ডাবল ভাড়া আদায়সহ হয়রানী ও দুর্ভোগ লাঘবের জন্য প্রচেষ্টা ও ইলিশ পরিবহনের কয়েকটি গাড়িতে জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে স্থানীরা জানান, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ডাবল ভাড়াসহ যাত্রীদের হয়রানী করা হচ্ছে। ফলে পদ্মা সেতুর সুফল পেলেও হয়রানী বন্ধের আহবান জানান সাধারণ যাত্রীরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: