
বিদেশবার্তা ডেস্ক : নতুন অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ, কর্মশালা ও সেমিনার অংশগ্রহণ বন্ধ করেছে সরকার। একই সঙ্গে গাড়ি, জাহাজ, বিমান কেনাও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
রবিবার (২ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগের এক পরিপত্রে এমন বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে কৃচ্ছ্রসাধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যে কারণে চলতি অর্থবছরের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও এর আওতাধীন অধিদফতর, পরিদফতর, দফতর, স্বায়ত্তশাসিত, আধাসায়ত্বশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ও উন্নয়ন বাজেট ব্যয়ে সংকোচন করা হচ্ছে।
গত অর্থবছরের শুরু থেকেও সরকারের কৃচ্ছ্রসাধনের নীতিতে এ পর্যন্ত সরকারি ব্যয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
এই অর্থের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা খাত থেকে সাশ্রয় হয়েছে ১০৯৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া পণ্য ও সেবাসহ পূর্ত কাজ এবং শেয়ার ও ইকুইটিতে বিনিয়োগের লাগাম টেনে সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা।
রবিবারের পরিপত্রে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় নতুন গাড়ি কেনা বন্ধ এবং প্রকল্পের অর্থ ছাড় পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সব ধরনের আবাসিক, অনাবাসিক, অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা খাতে বরাদ্দ দেয়া অর্থ ব্যয়ও বন্ধ থাকবে। ভূমি খাতের অধিগ্রহণ বাবদ বরাদ্দ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ সাশ্রয় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ এবং জ্বালানি খাতের বরাদ্দে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ খরচ করা যাবে। এমন নির্দেশনাই দেয়া হয়েছে পরিপত্রে।
অর্থ বিভাগের উপ-সচিব আনিসুজ্জামানের সই করা পরিপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি অর্থ বছরে পরিচালনা বাজেটের আওতায় বিদ্যুৎখাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ খরচ করা যাবে। পেট্রোল, ওয়েল, লুব্রিকেন্ট, গ্যাস ও জ্বালানি খাতে অর্থ খরচ করা যাবে ৮০ শতাংশ। বাকিটা সাশ্রয় করতে হবে।
আর উন্নয়ন বাজেটের আওতায় বিদ্যুৎখাতে ৭৫ শতাংশ, পেট্রোল, ওয়েল, লুব্রিকেন্ট, গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দের আশি শতাংশ অর্থ খরচ করা যাবে। পাশাপাশি সব ধরনের যানবাহন ক্রয় বন্ধ থাকবে। মোটরযান, জলযান ও আকাশযান কেনা যাবে না। এ ক্ষেত্রে ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দ অর্থের সব আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন শেষে অর্থবিভাগের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: