
নিজস্ব প্রতিবেদক: নরসিংদীর পলাশে হাদিউল ইসলাম (১৯) নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি কাটার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে জালাল মিয়া (৪২) ও শিবপুর উপজেলার মিয়ারগাঁও এলাকার আলফাজ উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া (৩৫)।
মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত দুইজনসহ অন্যান্য আসামিরা চাকরি দেওয়ার কথা বলে গত ২৮ জুলাই শিবপুর উপজেলার বাড়ৈগাঁও দক্ষিনপাড়ার মোর্শেদ মিয়ার ছেলে হাদিউল ইসলামকে পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা এলাকায় নিয়ে যায়। পরে রাত দেড়টায় শহিদুল এর কলাবাগানে নিয়ে হাত পা ও চোখ বেঁধে ফেলে মারপিট করে। এসময় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হাদিউলের দুই হাত থেকে কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।
পরে অভিযুক্তরা হাত এবং মুখের বাঁধন খুলে চলে গেলে ডাকচিৎকার করে হাদিউল। খবর পেয়ে পলাশ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ঘটনায় রবিবার আহত হাদিউলের পিতা মোর্শেদ মিয়া বাদী হয়ে জালাল(৪২), বৃষ্টি বেগম(২৫), সাজ্জাদ হোসেন (২০) ও রুপাকে (৩৫) আসামি করে পলাশ থানায় মামলা করেন। পরে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জালাল ও ফারুককে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, পরকীয়ার জের ধরেই হাদিউলকে ডেকে নিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। আর গ্রেফতারকৃত জালালের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও খুনসহ ১২টি মামলা বিচারাধীন আছে। গ্রেফতারকৃতদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: