
অনলাইন ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জের দুই উপজেলার পৃৃথকস্থান থেকে দুই অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি এলাকার এনআরবি নামক একটি ইট ভাটার পাশ থেকে অটোচালক নেকবর হোসেন (২২) ও পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার দক্ষিণ হলদিয়ার তিন দোকান এলাকার একটি পুকুর থেকে রশি পেঁচানো অবস্থায় মোস্তাফা (১৮) নামে যুবককের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ কর হয়েছে। মৃত নেকবর উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলগুলিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ সাজা মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বালুচর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ওয়াসিম আহমেদ জানান, রবিবার বিকালে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় নেকবর। স্বজনরা রাতে বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। আজ সকালে গ্রামের একটি ইট ভাটার কাছে মরদেহ পাওয়া যায় ।
ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ধারণা করছি হত্যা করে অটো ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা।
ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ আছে, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এছাড়াও লৌহজংয়ে দোকানে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ মোস্তফা (১৮) লৌহজং উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নের মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল মাদবরের ছেলে। চার ভাই এক বোনের মধ্যে মোস্তফা সবার ছোট।
তিনি পেশায় একজন অটোরিক্সা চালক ছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার অটোরিক্সা নিয়ে বের হন। রাতে আর বাসায় ফেরননি। ধারণা করা হচ্ছে, মোস্তফাকে হত্যা করে তার ব্যবহৃত অটোরিক্সাটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটা একটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: