
বরিশাল থেকে : আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে গণসমাবেশ করবে জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। এ লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্নের পথে। এরিমধ্যে সমাবেশ করতে বরিশাল নগরীর বেলস পার্ক (বঙ্গবন্ধু উদ্যান) চেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমতি চেয়ে পৃথক আবেদন করেছে মহানগর বিএনপি। কিন্তু রবিবার (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। স্থান নির্ধারণ হলেই শুরু হবে প্যান্ডেলসহ আনুসঙ্গিক কাজ। তবে এখন চলছে প্রচার প্রচারণার কাজ।
এদিকে, বিএনপির সমাবেশের আগে-পরে দুদিন বাস ধর্মঘট ডেকেছে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ। আর সমাবেশের পাঁচদিন বাকি থাকতে এবার তিন চাকার যানের ধর্মঘট ডেকেছে বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, টেক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়ন।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সংগঠনের সভাপতি কামাল হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোশফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। তবে তিন চাকার যানের ধর্মঘটও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে বিএনপি।
তিন চাকার যান বন্ধের ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বরিশাল বাস মালিক-শ্রমিকদের হাতে তিন চাকার যানের চালকদের হয়রানি বন্ধ, মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন চাকার যানের নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, মেট্রোপলিটন এলাকার সর্বত্র তিন চাকার যান চলাচলের অনুমতি, তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর তিন চাকার যানের ভাড়ার তালিকা প্রদান ও সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে ৪ ও ৫ নভেম্বর ডিজেল, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত সব ধরনের তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
জানতে চাইলে বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, টেক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামাল হোসেন মোল্লা বলেন, যেহেতু বাস মালিকেরা আমাদের যানবাহন বন্ধের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, সেই কারণে আমরা তার প্রতিবাদে ধর্মঘট ডেকেছি। বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
তবে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, বাস চলাচল বন্ধের পর এখন তিন চাকার যানও বন্ধ করা হলো। এরপর একে একে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, ট্রাক, লঞ্চ, রিকশা, খেয়া নৌকাও বন্ধ করবে। এটা ধরে নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছি। এটা করা হবে, সেটাও আমরা নিশ্চিত ছিলাম।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ খুলনা ও সর্বশেষ রংপুরে একই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে সরকার গণসমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল। এমনকি লঞ্চ, ট্রেন, ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, রিকশা, ব্যাটারিচালিত যান ও খেয়া পর্যন্ত বন্ধ করার মতো বিরল নজির এই অবৈধ সরকার স্থাপন করেছে।’
মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, কোন কিছু করেই জনগণকে ঠেকানো যায়নি। বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো মানুষ পায়ে হেঁটে কিংবা যে যেভাবে পেরেছে, সমাবেশে হাজির হয়েছে। ৫ নভেম্বর বরিশালের গণসমাবেশও জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: