ঢাকা | বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

ঈদকে সামনে ভৈরবে পশু মোটা-তাজা করনে ব্যস্ত খামারিরা

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২২ ২০:৪৭

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২২ ২০:৪৭

ছবি: সংগৃহীত

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) থেকে : ভৈরবে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১০ হাজার ৭০০টি গবাদী পশু। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে, দেশীয় পদ্বতিতে গরু মোটা-তাজা করনে খামারী ও চাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছে। খামারিদের দাবি চোরাই পথে ভারতীয় বা বিদেশী গরু আনা বন্ধে সরকার যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। বিদেশী গরু আমদানী বা চোরাই পথে এলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে জানান খামারিরা।

এদিকে কোরবানির পশু নিরাপদ করতে গরু মোটা-তাজা করণে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার বন্ধে খামারিদের কাউন্সিলিং ও পরামর্শ খামারে খামারে তদারকী করছে প্রাণী সম্পদ অফিস।

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ভৈরবে প্রান্তিক খামারিরা ৬মাস আগে থেকেই খামারে খামারে গরু মোটা-তাজা করনে ব্যস্ত সময় পার করছে।

ভৈরবে কোরবানির জন্য ৯ হাজার ২শ ৪০টি পশুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার তুলনায় ভৈরবে ৭ হাজার ৬শ ৮২ জন খামারি ১০ হাজার ৭শ গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া দেশীয় পদ্বতিতে মোটা-তাজা করছে। যা অতিরিক্ত আরো ১ হাজার ৪শ ৫০টি পশু রয়েছে।এ বছর গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশীয় পদ্বতিতে গরু লালন-পালনে খরচ বেড়ে গেছে খামারিদের।

তবে চোরাই পথে বিদেশী গরু হাটে এলে লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে খামারিরা। তাই চোরাই পথে গরু আনা বন্ধ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান খামারিরা।

কোরবানীর ঈদে লাভের আশায় এসব খামারিরা কোন প্রকার রাসায়নিক বা ক্ষতিকর ট্যাবলেট, ডেক্সা মেথাথন ও স্টেরয়েডের মত ভয়ংকর ক্ষতিকারক ওষুধ প্রয়োগ না করে দেশীয় পদ্ধতিতে খড়, তাজা ঘাস ও ভূষিসহ পোষ্টিকর খাবার খাইয়ে গরু মোটা-তাজাকরন করছে। সাধারণ গরুকে প্রাকৃতিক পন্থায় মোটা-তাজা ও সুস্থ রাখতে এ ধরণের গরুর মাংস খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।

ভৈরবে ৩টি কোরবানীর পশুর হাটে প্রাণী সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল টিম কাজ করবে। যাতে অসুস্থ বা রুগ্ন কোন পশু হাটে বিক্রি করতে না পারে। তাছাড়া মানুষ যেন নিরাপদ মাংস পেতে পারে সার্বক্ষণিক হাটে মেডিক্যাল টিম কাজ করবে।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের ভ্যাটেরিনারি সার্জন ডাঃ সাইফুল আজম জানান, কোরবানির পশুর মাংস নিরাপদ রাখতে এবং মানুষ যাতে সুস্থ থাকতে পারে। সেজন্য এ বছর ভৈরবে ৭ হাজার ৬শ ৮২ জন খামারি ব্যক্তি মালিকানা ও প্রান্তিক খামারিরা প্রায় ১০ হাজার ৭শ গরু, মহিষ, ভেড়া, ছাগল মোটা-তাজাকরণে দেশীয় পদ্বতিতে লালন -পালন করছে।

খামারিরা যাতে কোন প্রকার পাম ট্যাবলেট, স্টেরয়েড ও হরমুন ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য ৮টি মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। খামারিদেরকে কাউন্সিলিং এবং পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে তারা যেন ক্ষতিকর ট্যাবলেট বা ইনজেকশন দিয়ে গরু মোটা-তাজা করন না করে।

এছাড়া গো-খাদ্যেও দাম বেড়ে যাওয়ায় পশু মোটাতাজা করনে খামারিদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা যেন লাভবান হতে পারে সেজন্য বিদেশী গরু যাতে চোরাই পথে হাটে বিক্রে করতে না পাওে প্রাণী সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: