ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

নবীনগরে বন্যার কারণে হতাশ খামারিরা

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২২ ২৩:০৮

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২২ ২৩:০৮

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মুনাফা লাভের আশা দেখলে ও বন্যার কারণে হতাশ খামারিরা। ঈদের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই হতাশ হচ্ছেন তারা। গত দুই বছর যাবত করোনা মহামারীর কারণে ব্যবসা করতে পারেননি স্থানীয় গরু- মহিষ খামারিরা। এবার ও বন্যার পানি না কমলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে মনে করেন অনেক খামারি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় ছোট- বড় সব মিলে ৭,৩২৫ টি মোটা তাজা করণ খামার প্রস্তত আছে। প্রতি বছর খামারিরা পশু পালন করে কোরবানির সময় বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু গত বছরের ন্যায় এবারো দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে সাপ্তাহিক পশুর হাটে ক্রেতাদের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না, ফলে হতাশার মধ্যে সময় অতিবাহিত করছেন খামারিরা।

উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের মাশাল্লাহ এগ্রো ফার্ম এর কর্ণধার হাজী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও আমার খামারে ২০টি মহিষ আছে, যা কোরবানির ঈদে বিক্রি করব বলে যত্ন সহকারে পালন করছি। দুই তিন বছর যাবত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে লাভের মুখ দেখছি না। এবার এখন
পর্যন্ত কোন ক্রেতা পাচ্ছি না, নিচু অঞ্চলের গরুর বাজার গুলোতে পানি উঠেছে, সিলেটের বন্যার পানি আমাদের এখানেও আসে, ফলে এবারো পানি বাড়তির দিকে। আমার খামারে প্রতিটি মহিষ দেড় লাখ থেকে শুরু করে তিন লাখেরও বেশি দাম হবে বলে আশা করছি, কিন্তু সঠিক মূল্য পাব কিনা চিন্তায় আছি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা.শামীম আহমেদ বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক খামারিদের খোঁজ-খবর রাখছি ,সময় উপযোগী বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করে আসছি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: