
নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী মুসলিমা খাতুনকে (২৪) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আল আমিনের বিরুদ্ধে। উপজেলার পাগলা থানার টাংগাবর ইউনিয়নের ছাপিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গৃহবধূর শাশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে (৪৫) আটক করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত গৃহবধূ মুসলিমা খাতুনের টাংগাবর ইউনিয়নের ছাপিলা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আল আমিনের সাথে গত তিন বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর আল আমিন ও মুসলিমা দম্পতির ঘরে আরাফাত (২) নামে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। এরপরই শুরু হয় যৌতুকের জন্য দাম্পত্য কলহ। এনিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কলহ বিবাদ লেগেই থাকতো।
স্থানীয়রা আরও জানায়, শুক্রবার রাতে বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে আল আমিন লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার স্ত্রীকে গুরুতর আহত করে নিজ ঘরেই ফেলে রাখে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নিজ ঘরেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার রাতেই নিহতের মা রোকেয়া খাতুন বাদি হয়ে মেয়ের জামাই আলামিন, শশুর মফিজ উদ্দিন ও শাশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে আসামি করে পাগলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পাগলা থানার ওসি রাশেদুজ্জামান জানান, আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: