
নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গতকাল সারারাত অঝড়ধারায় বৃষ্টির কারণে পানিবন্দি অন্তত আড়াই শ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ।
জানা যায়, গত চারদিনের ধরে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়তে থাকে জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। কালনি-কুশিয়ারা ও ভেড়ামোহনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে। গতকাল রবিবার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন অংশে দেখা দেয় ভাঙন। প্লাবিত হয় নতুন নতুন এলাকা।
অধিকাংশ এলাকাতেই বন্যা দুর্গতরা এখনও বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাদের কাছে পৌঁছায়নি খাদ্য সহায়তা। অনাহারে দিন কাটছে বন্যাকবলিত অনেক মানুষদের।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আজ সোমবার বিকেলে খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার ও শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শহর রক্ষাবাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। তাই শহরবাসীকে সতর্ক থাকার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া কালনি-কুশিয়ারার পানি আজমিরীগঞ্জ অংশে বিপৎসীমার ১৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, বন্যা দুর্গতদের জন্য জেলায় ৯৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৭ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে শুকনো খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বন্যার্তদের মধ্যে শুকনো খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, ‘উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। অনেকে গবাদি পশু রেখে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চাচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।’
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: