04/19/2025 এবার ঢাকায় হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে দুই গাড়ির ধাক্কা
সেলিম সোহেল
২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে বহন করা গাড়িতে আবারও অন্য গাড়ি ধাক্কা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে দুই দফায় গাড়িচাপা দিয়ে হাসনাতকে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রথম মাতুয়াইলে একটি ট্রাক তাকে বহনকারী গাড়িটিতে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে গুলিস্তানে আবারও মিনি-ট্রাকের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার গাড়ি। তবে, তিনি সুস্থ আছেন।
পরপর দুটি গাড়ি দিয়ে ধাক্কার দেওয়ার বিষয়টি ‘পরিকল্পিত’ বলে সন্দেহ করছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, ‘‘আমিও এরকম অভিযোগ শুনেছি। তবে কোথায়, কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। খোঁজ-খবর নিয়ে এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িকে অন্য গাড়ির ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
বৈষম্যিবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘‘চট্টগ্রাম থেকে গতকাল রাতেই অন্য গাড়িতে করে ঢাকা ব্যাক করলাম৷ পথে হাসনাতকে কুমিল্লার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসলাম৷
এখন শুনছি সকালে কুমিল্লা থেকে ঢাকা আসার পথে হাসনাতের গাড়িতে পিছন থেকে আবার অন্য গাড়ি দিয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে!
এসব ষড়যন্ত্র করে আর কত? কয়জন হাসনাত মারবেন?
মনে নাই সেই অভ্যুত্থানের দিনগুলোর কথা? একজনকে যখন বুলেটের আঘাতে লাশ বানিয়েছেন তখন সেই জায়গায় অন্যজন দাঁড়িয়ে গিয়েছে! কিন্তু পিছু হটে নি৷
ঠিক একইভাবে এক হাসনাতকে মারলে হাজারো হাসনাত এখন দাঁড়িয়ে যেতে প্রস্তুত ৷ এই নতুন বাংলাদেশের চলার পথকে অবরুদ্ধ করার দুঃসাহস দেখাবেন না৷ এই তরুণ প্রজন্ম মাথা নোয়াবার নয় ৷
আমরা মরতে শিখে গিয়েছি ৷
We are open to be killed.’’
উল্লেখ্য, গতকাল (২৭ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দাফন শেষে ফেরার পথে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক। পরে রাতে দুজন ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘‘মারবা? পারবা না। আমরা আবরার ও আলিফের উত্তরসূরী। মনে রেখো- শহীদেরা ম রে না।’’