04/20/2025 কোন পথে যুক্তরাষ্ট্র, পুনরাবৃত্তি নাকি পরিবর্তন
সেলিম সোহেল
৬ নভেম্বর ২০২৪ ০২:৫৮
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ঠান্ডা আবহাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই নির্বাচন নিয়ে টানটান উত্তেজনা রয়েছে। বৈশ্বিক মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবারের দুই প্রার্থীই এই উত্তেজনার কারণ।
এদের এক জনের শাসনামল চার বছর আগে প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব এবং সেই অভিজ্ঞতা ইতিবাচক ছিল না। আরেক জন আসছেন পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে।
জনমত জরিপগুলো এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে ঐতিহাসিক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছে। নির্বাচনের আগেই নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাম্প অভূতপূর্বভাবে নিজের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
আর ডেমোক্রেট শিবিরের কমলা হ্যারিস স্বল্প সময়ের ব্যবধানে নিজেকে খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছেন। কারণ এবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেট থেকে প্রথমে প্রার্থী হয়েছিল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কিন্তু প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের প্রথম পর্বে ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর সমালোচনার শিকার হন তিনি। দলীয় চাপেই একপর্যায়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে স্থলাভিষিক্ত করেন কমলা হ্যারিসকে।
কমলা হ্যারিসের প্রচারদল সোমবার শেষ নির্বাচনি প্রচার শেষে জানিয়েছে, হ্যারিস বুঝতে পারছেন যে, তুমুল লড়াই হবে। কিন্তু তিনি সত্যিকার অর্থেই ‘উদ্দীপ্ত ও উদ্যমী আছেন’।
হ্যারিস তার প্রচার সভাগুলোতে ‘আমরা পেছনে ফিরে যাবো না’ স্লোগানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে নেয়া নীতিগুলোর নেতিবাচক প্রভাবগুলোর কথা তুলে ধরেছেন। নির্বাচিত হলে প্রথম দিন থেকেই মার্কিন জনগণের জীবনযাত্রার খরচ কমানোর দিকে মনোযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তার দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে খাদ্যসামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রথমবারের মতো বাড়ি কেনার সুবিধা, আবাসনের ব্যবস্থা ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি। এবারের নির্বাচনে কমলা হ্যারিস সবচেয়ে আকর্ষণীয় অঙ্গীকার হচ্ছে গর্ভপাতের অধিকার। মূলত এই প্রতিশ্রুতির কারণেই মার্কিন নারীদের সমর্থন অনেকটা তার দিকে ঝুঁকে গেছে।