04/21/2025 বিএনপির গণসমাবেশ নয়পল্টনেই হবে: মির্জা ফখরুল
আল আমিন
১ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ নয়পল্টনেই হবে। এ নিয়ে সংঘাত আর উস্কানির পথে না গিয়ে নয়াপল্টনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আয়োজনে ব্যবস্থা নিন।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান। সারাদেশে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এসময় সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফকরুল বলেন, সংঘাতের পথে যাবেন না, উস্কানি দেবেন না। দয়া করে সিদ্ধান্ত বদল করে নয়াপল্টনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ব্যবস্থা করুন। শান্তিপূর্ণ উপায়ে আমরা সমাবেশ করতে চাই। নয়াপল্টনেই আমরা সমাবেশ করব। আপনারা আপনাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন।
তিনি আরও বলেন, আজকে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, যে জায়গা আপনারা (সরকার) দিতে চান- সেই জায়গায় আমরা কমফোর্টেবল নই- এটা খুবই পরিষ্কার কথা। চারদিকে দেয়াল দিয়ে ঘেরা, চতুর্দিকে যাওয়ার রাস্তা নেই। সোহরাওয়ার্দিতে একটা মাত্র গেইট- যে গেইট দিয়ে একসঙ্গে একজন দুইজন করে মানুষ ঢুকতে পারে, বের হতে পারে না। তাই আমরা আবারও পরিষ্কার ভাষায় বলছি, আপনাদের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন। জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে এই নয়া পল্টনে আমাদেরকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সমস্ত ব্যবস্থা আপনারা গ্রহণ করুন। ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সমস্ত ব্যবস্থা আপনারা করুন। সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার দায়িত্ব আপনাদের। তা না হলে সকল দায়-দায়িত্ব আপনাদের।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একমাস আগে আমাদের পার্টির তরফ থেকে ঢাকা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছি যে, আমরা নয়াপল্টনের সামনেই বিভাগীয় সমাবেশটা করতে চাই। আমরা যে চিঠি দিয়েছি- এটা ঢাকা বিভাগের সমাবেশ। এটা কোনো জাতীয় সমাবেশ নয়। ঢাকা বিভাগের সমাবেশ করতে আমাদেরকে নয়া পল্টনের এই খানেই জায়গা দেয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলেছি। এটা পরিষ্কার কথা। আমরা বার বার বলেছি।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে সাজিয়ে সাজিয়ে আর মিথ্যা মামলা দেবেন না। শেষ রক্ষা কি হয়? আপনারা দেখেছেন ‘সেংশান’ এসেছে। আবার জনগণের ‘সেংশান’ যদি আসে- তাহলে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। অতএব এসব গায়েবী মামলা দেওয়া বন্ধ করুন, হামলা বন্ধ করুন, গ্রেফতার বন্ধ করুন এবং জনগণের যে আন্দোলন সেই আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণভাবে চলতে দিন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফেরত দিন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা থাকতে পারেনি। ১৯৯০ সালেও এরশাদের পতন ঘটেছে। জনগণ আজ জেগে উঠেছে। জনগণের আন্দোলন তাদের মুক্তির আন্দোলন। জনগণ আওয়ামী লীগের এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়।
বিদেশ বার্তা/ এএএ