04/21/2025 বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত আছে: শেখ হাসিনা
আল আমিন
২২ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক: গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় দেশের উন্নয়ন করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বিকালে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে বাংলার জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমরা এ পর্যন্ত ক্ষমতায় আছি। বাংলাদেশে অন্তত গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত আছে। আর গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত আছে বলেই আজকে আমরা দেশের উন্নয়ন করতে পারছি।
উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক।
দেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এখন বাংলাদেশ আসলে, সত্যি কথা বলতে কী উন্নয়নের রোড মডেল হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে করোনা এবং এ যুদ্ধ আর স্যাংশন এটা আমাদের অনেকটা সমস্যায় ফেলছে। মানুষের জীবনমান উন্নত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি এখনও গতিশীল আছে, চলমান আছে। সবার সহযোগিতায় অবশ্যই আমরা এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারবো।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হবে জনগণের বাহিনী তথা পিপলস আর্মি। আমি বিশ্বাস করি সত্যি আমাদের সেনাবাহিনী এখন পিপলস আর্মি। কারণ দুর্যোগ অথবা যে কোনো দুর্ঘটনায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
যুদ্ধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু একটি কথা বলবো, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করবো না। আমরা শান্তি চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের এ নীতি শিখিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা কিন্তু সেই নীতিতে অটল থেকে পৃথিবীর সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজ আমরা করে যাচ্ছি। যার শুভ ফল দেশের মানুষ পাচ্ছে।
শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়তে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী- প্রত্যেকটা বাহিনীকে আধুনিক সরঞ্জামাদি ক্রয় করে দেওয়া এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সময়োপযোগী হোক। ফোর্সেল গোল ২০৩০ এর আলোকে আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করে দিচ্ছি।
বিদেশ বার্তা/ এএএ