04/21/2025 বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধানমন্ত্রী
আল আমিন
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০২:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক: যেকোনো সঙ্ঘাত বা সঙ্কট বিশ্বের প্রতিটি জাতিকে প্রভাবিত করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে নিরাপত্তার গতিশীলতা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং দিন দিন জটিল হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এটি দেশগুলোর নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল উন্নয়নকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধা দেয়।’
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট (আইপিএএমএস)-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথ আয়োজনে সেমিনারে ইউএস আর্মি প্যাসিফিক কমান্ডারসহ ২৭টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তা বিশ্বের প্রায় সব দেশের প্রধান নীতিগত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি দেশগুলোকে টেকসই উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী সহযোগিতার দিকে নিয়ে গেছে। এটি যোগাযোগ, সংলাপ এবং শীর্ষ বৈঠকের বেসামরিক এবং সামরিক কূটনৈতিক চ্যানেলের পথও প্রশস্ত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আইপিএএমএস একটি অনুরূপ বহুজাতিক প্ল্যাটফর্ম যা বন্ধুত্ব এবং উষ্ণতার অনুভূতি তৈরি করতে পারে যাতে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইপিএএমএস সব সময় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বন্ধুত্ব, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
‘আমি মনে করি, এই ফোরামের মাধ্যমে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া বাস্তবসম্মত বহু-পার্শ্বিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য সাধারণ স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে সহায়তা করবে’ যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনো দেশের সেনাবাহিনী সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার অন্যতম উপাদান।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসঙ্ঘ মিশনে এবং বিশ্বের যেকোনো স্থানে দেশ ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা যে বাংলাদেশ সর্বদা বৈশ্বিক শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
‘আমাদের সামরিক বাহিনী জাতিসঙ্ঘের অধীনে বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। আমরা এটা বজায় রাখতে চাই’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাফল্যের জন্য একটি ‘ডেভেলপমেন্ট মিরাকাল’ হিসাবে স্বীকৃত। বিশেষ করে দারিদ্র্য হ্রাস, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লিঙ্গ সমতা, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু শান্তির সুবিধায় বিশ্বাসী এবং জনগণের শক্তির ওপর নজর দিয়েছে, তাই অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের বৈদেশিক নীতি থেকে শক্তি নিয়ে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছি।’
সূত্র : ইউএনবি
বিদেশ বার্ত/ এএএ